Posts

লোগো ডিজাইন - আলহামদুলিল্লাহ,প্রথম কোন আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে আমার লোগো বিজয়ী হলো। দেশীয় অনেক(৮০+) কোম্পানির লোগো তৈরি করলেও দেশের বাইরের কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের লোগো করা হয় নি। বিভিন্ন দেশের ডিজাইনারদের সাথে প্রতিযোগিতা করে আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে নিজের ডিজাইনকে বিজয়ী করা আমার জন্য স্বপ্নের মতো ছিল। তাই দুই বছর ধরে ধীরে ধীরে কাজ করে গেছি। আজকে সেখানে কিছুটা ফল পেলাম। প্রথম কোন বিদেশি(যুক্তরাষ্ট্র) কোম্পানির লোগো তৈরি করা হলো আমার দ্বারা। আপনার কাছে এটা খুব ছোট সফলতা বলতে গেলে,তবে আমার জন্য আনন্দের। নতুন কিছু সৃষ্টির অনুপ্রেরণা পাচ্ছি। এ যাত্রায় আমাকে সহযোগিতা করেছিলেন অনেক মানুষ,সবার নাম বলা কঠিন এবং সবাই আমার ফ্রেন্ডলিস্টেও নাই। তারপরও গ্রাফিক ক্লানকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ। নাঈম ভাইকে পা'য়ে ছুঁয়ে সম্মান জানাই,ভাই আমাকে ফ্রি কাজ শিখিয়েছে। নাহলে আজকে আমার কিছুই করার থাকতো না। এছাড়া আব্দুল্লাহ ভাই,শিরীন আপু,সিয়াম ভাই,শাহনাজ আপু,ফাহাদ ভাই,বেলাল ভাই সহ অসংখ্য পরিচিত/অপরিচিত সবার কাছে কৃতজ্ঞ। কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ। উল্লেখ্য,বিজয়ী(লোগো) হিসেবে আমি ৫০ ডলার পাচ্ছি মার্কেটপ্লেস থেক

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও কিছু সুপারিশ

Image
 রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সফল করতে চাইলে যে সব বিষয় বিবেচনা করতে হবে , তার সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ ১) রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর আগে রাখাইন প্রদেশের স্থানীয় রাখাইন জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচারপ্রচারণা চালাতে হবে যাতে পুনরায় তারা রাখাইনের মুসলমানদের অত্যাচার না করেন ৷ এবং এ ধরনের ইতিবাচক মনোভাব তৈরির জন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় জনসাধারণের সমন্বয়ে জনসভা করে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে ৷ ২) রোহিঙ্গা জনসাধারণ যাতে সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা যেমন শিক্ষাগ্রহণের সমঅধিকার, সরকারি চাকরি পাবার সমঅধিকার, স্বাস্থ্যসেবা পাবার সমঅধিকার ও আইনের আশ্রয় লাভের সমঅধিকার পেতে পারে সেজন্য বিশেষ নিশ্চয়তা সরকারের পক্ষ থেকে দিতে হবে ৷ ৩) পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হিসাবে সরকারি চাকরিতে তাদের জন্য আলাদা কোটার ব্যবস্থা করতে হবে ৷ ৪) রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ভালোমন্দ দেখভাল করার জন্য রাখাইনে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত অঞ্চলে জাতিসংঘের উপযুক্ত কমিশন চালু করতে হবে ৷ ৫) তাদেরকে তাদের পূর্বের বসত বাড়িতেই ফেরত পাঠাতে হবে ৷বাংলাদেশ সরকার এবং ইউএনএইচসিআরকে সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে হবে ৷ ৬) তাদের ব্

ইরানি তেল ট্যাংকার আটকের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের

Image
ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। জিব্রাল্টার উপকূলে অবস্থানরত ইরানি তেল ট্যাংকারটিকে এবার আটকের নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। জিব্রাল্টারের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সুপার তেল ট্যাংকারটি মুক্ত হয়ে যখন ইরানে ফেরার প্রস্তুতি নেয়ার প্রেক্ষাপটে মার্কিন আদালতের নির্দেশ জারি হলো। আমেরিকার কলম্বিয়ার আঞ্চলিক আদালত ওই নির্দেশ জারি করে দাবি করেছে, তেল ও তেলজাত পণ্য রপ্তানিলব্ধ আয় দিয়ে সিরিয়াকে সহযোগিতা করার কাজে আমেরিকার আর্থিক ব্যবস্থাকে অবৈধভাবে ব্যবহার করার দায়ে এ নির্দেশ জারি করা হলো। গতমাসের গোড়ার দিকে জিব্রাল্টার প্রণালীর আন্তর্জাতিক পানিসীমা থেকে ২১ লাখ ব্যারেল তেলবাহী ইরানের সুপার তেল ট্যাংকার ‘গ্রেস-ওয়ান’ আটক করে ব্রিটেন। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ওই আটকের ঘটনাকে ‘ব্রিটিশ জলদস্যুতা’ বলে অভিহিত করে তেহরান। তবে জিব্রাল্টারের সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার তেল ট্যাংকারটিকে মুক্ত করে দেয়ার নির্দেশ দেয়। আমেরিকার পক্ষ থেকে ট্যাংকারটির আটকাদেশ বৃদ্ধি করার আবেদন জানানো সত্ত্বেও জিব্রাল্টারের আদালত ওই রায় দেয়। আমেরিকার আবেদন সত্ত্বেও ইরানি তেল

রোহিঙ্গা প্রশ্নে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সফলতা-ব্যর্থতা

Image
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা-সংকট অনেক দিনের। এই সংকট নিয়ে দেশীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নানান আলাপ-আলোচনা ও উদ্যোগ লক্ষ করা যাচ্ছে। কিন্তু সংকট সমাধানের কোনো লক্ষণ এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। এমন প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান খুঁজেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী নেগিনপাও কিপজেন । এ বিষয়ে জিন্দাল স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের এই সহযোগী অধ্যাপকের নিবন্ধ ৪ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকক পোস্ট পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ভাষান্তর সাইফুল সামিন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের সঙ্গে স্থানীয় বৌদ্ধদের চলমান সংঘাতের বাস্তবিক সমাধান কে করতে সক্ষম, তা নিয়ে অনেকে কৌতূহলী। অনেকে এই দায়িত্ব দেশটিতে গত বছর ক্ষমতায় আসা অং সান সু চি ও তাঁর ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) সরকারের ওপর দিতে চায়। রোহিঙ্গা ইস্যুটি ২০১২ সাল থেকে আন্তর্জাতিক উদ্বেগের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘ, ওআইসি, আসিয়ান, বাংলাদেশ সরকারসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ এই সমস্যার সমাধানে সহায়তা করতে পারে বলে অনেকের ধারণা। তবে চূড়ান্ত দায়িত্ব মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, সুশীল সমাজ ও সাধারণ জনগণের ওপর নিহিত।

একজন বৃদ্ধা মা,একজন ভিক্ষুক কেন?

Image
মসজিদ হতে বের হতেই দেখি একটা বৃদ্ধা,মহিলা মাটিতে বসে পড়েছে।বয়স পঁচাত্তর কি আশি;দেখেই মনটা ভারী হয়ে গেল। বুঝলাম উনি ভিক্ষুক,ভিক্ষা করছে পেটের দায়ে।ভিক্ষা করতে যে শারীরিক সক্ষমতা দরকার তা-ও তিনি হারিয়েছেন। কিন্তু তৎক্ষণাৎ আমার সাথে ব্যাগ ছিলনা দুয়েক পয়সা দান করবো বলে।মসজিদ আমার পাশেই,তাই শুধু গেন্জি পড়েই বের হয়েছিলাম বাসা থেকে।দৌড়ে গিয়ে বাসায় এসে ব্যাগটা নিয়ে আবার এসে দেখি উনি হাটা দিয়েছেন,স্ব-স্থানে নেই।ধীরগতিতে হাটতে হাটতে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছেন,তবে ভাল করে হাটতেও পারতেছে না। আমিও দ্রুতগতিতে হেটে গিয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে তাঁকে পেলাম।কয়েকটা টাকা নিলাম হাতে(নিতান্ত কম)।উনি খুশি মনে নিলেন এবং আমার জন্য দোআ করতে করতে মাথায় হাত বুলাইলেন।দুই মিনিট ধরে মোনাজাত ভঙ্গিতে হাত দু'টা উঁচা করে ধরলেন।মনে হয় উনি বুঝতেও পারছেন,আমি ছাত্র মানুষ।তার প্রতি মায়া করে এসে  দুয়েক পয়সা দান করেছি। আচ্ছা,এদের জন্য কি রাষ্ট্রের কিংবা সমাজের কোন দায়বদ্ধতা নেই??নিজের জন্ম দেওয়া সন্তানসন্ততি-ই বা কেমনে ছেড়ে দিল রাস্তায়?এরকম উদাহরণ অহরহ।এ বয়সে যেখানে সেবা-শুশ্রূষা পাওয়ার কথা,সেখানে কি কেবলই ভিক্ষার ঝুলি? ধিক্কার

কাশ্মির ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক

Image
ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মির নিয়ে আজ শুক্রবার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসতে চলেছে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এ দিন নিউ ইয়র্কে জাতিসঙ্ঘের কার্যালয়ে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা অর্থাৎ বাংলাদেশী সময়ে সন্ধ্যা আটটায় ওই বৈঠক হবে বলে জানা গেছে। কাশ্মির নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠকের বিষয়টিকে তাদের কূটনৈতিক জয় হিসেবেই দাবি করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন, ‘চার দশক পর নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মির প্রসঙ্গ নিয়ে যে বৈঠক হতে চলেছে তা নজিরবিহীন।’ কুরেশির মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে পাকিস্তানের সরকারি সংবাদমাধ্যম পিটিভি জানিয়েছে, এটা দু’দেশের জমি সংক্রান্ত বিষয় নয়, এটা মানবিকতার বিষয়। বিশ্বকে এটা বুঝতে হবে। জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ এবং তাকে দু’ভাগ করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে গত মঙ্গলবার জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদকে চিঠি দিয়েছিল পাকিস্তান। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিরাপত্তা পরিষদে যায় চীনও। আগস্ট মাসের জন্য পরিষদের সভাপতিত্বকারী দেশ পোল্যান্ডকে চীন চিঠি দিয়ে জানায়, এই বিষয়ে তারা গোপন বৈঠক চায়। জাতিসঙ্ঘের কূটনীতিবিদ প্রথমে জানিয়েছিলেন, এখনই ওই বৈঠকের দিনক্ষণ বলা সম্ভব নয়। নিরাপত্তা পর

কাশ্মির সমস্যার শেষ কোথায়?

১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীর রাজ্যটি পাকিস্তানের ভাগে পড়বে বলেই জিন্নাহ প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু তা হয়নি। বিষয়টি অমীমাংসিত থাকায় প্রিন্সলি স্টেটটি সে সময় থেকে অদ্যাবধি একটি স্পর্শকাতর স্থান হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। সে সময়ে কাশ্মীরের ৮০ ভাগ লোক মুসলমান হওয়ায় নীতিগতভাবে কাশ্মীর পাকিস্তানের প্রাপ্য হওয়া সত্ত্বেও লর্ড মাউন্টব্যাটেন ও নেহরু তা হতে দেননি। রাজনৈতিক ও কৌশলগত কারণে নেহরু চেয়েছিলেন কাশ্মীরকে ভারতের ভেতর রাখতে। তাছাড়া রাজ্যটিতে তার ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততার কারণও ছিল। এ অবস্থায় কাশ্মীরকে নিজ নিজ দেশের অন্তর্ভুক্ত করাতে জিন্নাহ ও নেহরু উভয়েই ব্যর্থ হলে কাশ্মীর কৌশলগতভাবে ১৫ আগস্ট স্বাধীন হয়ে গেল এবং কাশ্মীরের হিন্দু রাজা অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় সেখানে অব্যাহতভাবে গোলমাল চলতে থাকল। ফলে কাশ্মীরের গোলমেলে স্বাধীনতার বয়স ছিল মাত্র ৭৩ দিন। রাজা হরি সিংয়ের অবিমৃষ্যকারিতার জন্য ১৯৪৭ সালের ২২ অক্টোবর পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ থেকে ৩০০০ পাঠান উপজাতি ঝিলম নদী পেরিয়ে কাশ্মীরে ঢুকে পড়ল। পাকিস্তান যুক্তি দেখাল কাশ্মীরি জনগণ অত্যাচারী রা