রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও কিছু সুপারিশ

 রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সফল করতে চাইলে যে সব বিষয় বিবেচনা করতে হবে , তার সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
১) রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর আগে রাখাইন প্রদেশের স্থানীয় রাখাইন জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচারপ্রচারণা চালাতে হবে যাতে পুনরায় তারা রাখাইনের মুসলমানদের অত্যাচার না করেন ৷ এবং এ ধরনের ইতিবাচক মনোভাব তৈরির জন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় জনসাধারণের সমন্বয়ে জনসভা করে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে ৷
২) রোহিঙ্গা জনসাধারণ যাতে সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা যেমন শিক্ষাগ্রহণের সমঅধিকার, সরকারি চাকরি পাবার সমঅধিকার, স্বাস্থ্যসেবা পাবার সমঅধিকার ও আইনের আশ্রয় লাভের সমঅধিকার পেতে পারে সেজন্য বিশেষ নিশ্চয়তা সরকারের পক্ষ থেকে দিতে হবে ৷
৩) পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হিসাবে
সরকারি চাকরিতে তাদের জন্য আলাদা কোটার ব্যবস্থা করতে হবে ৷
৪) রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ভালোমন্দ দেখভাল করার জন্য রাখাইনে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত অঞ্চলে জাতিসংঘের উপযুক্ত কমিশন চালু করতে হবে ৷
৫) তাদেরকে তাদের পূর্বের বসত বাড়িতেই ফেরত পাঠাতে হবে ৷বাংলাদেশ সরকার এবং ইউএনএইচসিআরকে সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে হবে ৷
৬) তাদের ব্যবসাবাণিজ্য ফেরত দিতে হবে এবং যারা ব্যবসা বাণিজ্য হারিয়েছেন তাদের প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ৷
৭) ভবিষ্যতে অতীতের মতো অমানবিক ও নৃশংস ঘটনার যাতে পূনরাবৃত্তি না ঘটে মিয়ানমার সরকারকে তার নিশ্চয়তা দিতে হবে ৷
এ সব বিষয় পরিপালন করার পরই কেবল রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয় বিবেচনা করলে ভালো হবে ৷ অন্যতায় কেবল প্রত্যাবাসনের নামে জঠিলতাই বাড়বে ৷ আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়গুলো ভাববেন ৷ ধন্যবাদ সকলকে ৷৷
.
লেখক-আখতারুল আলম,প্রাবন্ধিক,গবেষক।

Comments

Popular posts from this blog

কাশ্মির সমস্যার শেষ কোথায়?

কাশ্মির ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক